নাঙ্গলকোটে ২১ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা,জন দূর্ভোগ চরমে

স্টাফ রিপোর্টার, নাঙ্গলকোট:

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট বাঙ্গড্ডা-মাহিনী-হাসানপুর-বক্সগঞ্জ সড়কটির ২১ কিলোমিটার এখন বেহাল দশায় রয়েছে। এতে জন দূর্ভোগ চরম আকার ধারন করছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির বেহাল দশায় নাঙ্গলকোট, চৌদ্দগ্রাম এবং সেনবাগ উপজেলার প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কটিতে অসংখ্য ছোট-বড় খানা-খন্দকে যাতায়াত ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সড়কটির বাঙ্গড্ডা থেকে মাহিনী পর্যন্ত সবচাইতে বেহাল দশা বিরাজ করছে। বর্তমানে বর্ষাকাল হওয়ায় ছোট-বড় খানা-খন্দকে বৃষ্টির পনি জমে ছোট-বড় যানবাহনসহ পথচারীদের নাকাল হতে হচ্ছে।

গত দুই বছর থেকে সড়কটির বেহাল দশা বিরাজ করায় এলাকাবাসীকে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সড়কটির বাঙ্গড্ডা পূর্ব বাজার, রায়কোট, মাহিনী তালতলা, মাহিনী বাজার, ঝাটিয়াপাড়া বাজার, তুলাাতুলী বাজার, মৌকারা চৌরাস্তা, দক্ষিণ পাড়া, আলিয়ারা উত্তরপাড়া, মধ্যপাড়া, ঢালুয়া বাজার, আজিয়ারা, শুভপুর নামকস্থানের এক একেকটি বড়-বড় গর্ত যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। বর্ষাকালে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বড়-বড় গর্তগুলোতে পানি ঢেউ খেলতে দেখা যায়। গর্তগুলো পানি এবং কাদামাটিতে একাকার হয়ে পড়েছে। সড়কটির বিভিন্ন বাজারগুলোতে পানি সরানোর ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি জমে দ্রুত সড়কটিতে বড়-বড় খানা-খন্দকের সৃষ্টি হয়ে যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

সড়কটির ছোট-বড় গর্ত দিয়ে যাত্রীবাহি বাস, মালবাহি ট্রাক, ট্রাকটর, পিকআপভ্যান, সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, ব্যটারি চালিত অটোরিক্সা, মাইক্রোবাস এবং মোটরসাইকেলকে হেঁলে-দুলে ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বর্তমানে বর্ষাকাল হওয়ায় যাত্রীবাহি বাস, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, মালবাহি ট্রাক, ট্রাকটর ও পিকআপভ্যানকে সবচাইতে বেশি ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ছোট-বড় গর্তে পড়ে যানবাহন নষ্ট হতে দেখা যায়। সড়কটি দিয়ে এলাকাবাসী জেলা শহর কুমিল্লা ফেনী, চৌদ্দগ্রাম হয়ে ঢাকা-চট্রগ্রামে নিয়মিত ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন। এছাড়া নাঙ্গলকোটের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকা এবং নাঙ্গলকোট উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন। অনেকটা বিপদে না পড়লে সড়কটি দিয়ে কেউ যাতায়াত করতে চান না।

বাঙ্গড্ডা বাজার এলাকার একরামুল হক বলেন, সড়কটির প্রবেশমূখ বাঙ্গড্ডা পূর্ব বাজার বটতলায় সবচাইতে বেহাল দশা বিরাজ করছে। বড়-বড় গর্তে পানি জমে সড়কটি যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটিতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি জমে সড়কটিতে বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়।

বাঙ্গড্ডা-হাসানপুর সড়কে যাতায়াতকারী সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক রাজন হোসেন মিয়াজী বলেন, গত দুই বছর থেকে সড়কটির বেহাল দশায় ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। সড়কটিতে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের কারণে যাত্রীরা গাড়িতে উঠতে চায় না। কয়েকদিন পর-পর গাড়ি নষ্ট হচ্ছে।

রায়কোটের রিগ্যান হাজারী বলেন, সড়কটির বেহাল দশায় যাতায়াতে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ছোট-বড় যানবাহন যাতায়াত ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে। দোকান সংলগ্ন সড়ক খারাপ হওয়ায় ক্রেতারা দোকানে আসতে চায় না। নিয়মিত লোকসান গুণতে হচ্ছে।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর লাকসাম শাখা উপ-সহকারী প্রকৌশলী আজিম উদ্দিন বলেন, আমরা সড়কটি পরিদর্শন করেছি। জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীকে সড়কের বেহাল দশার বিষয়টি জানানো হয়েছে। আগামী জুলাই-আগষ্টে সড়কটি মেরামতের জন্য প্রক্কলন ব্যয় তৈরী করে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের প্রেরণ করা হবে।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
error: ধন্যবাদ!